রাজশাহীর চারঘাটের সেই কুখ্যাত মাদক সম্রাট ও চার হত্যাকান্ডে জড়িতো কামাল হোসেন (৪১) ও সাব্বির উদ্দিন (২৮) গ্রেপ্তার হয়েছেন। সোমবার রাতে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে হেরোইন ও বিদেশী পিস্তল, গুলি ও ম্যাগজিনসহ তাদের গ্রেপ্তার করে। তাদের গ্রেপ্তারে এলাকায় মিস্টি বিতরণ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার কামাল হোসেন চারঘাট উপজেলার তাতারপুর গ্রামের মোনায়ারুল ইসলামের ছেলে। আর সাব্বির উদ্দিনের বাড়ি এই উপজেলার শিবপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সাইনুদ্দিন। এদের মধ্যে সাব্বির নিজেকে পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে এলাকায় মাদকের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিল।
পুলিশ জানায়, রাজশাহীর পুলিশ সুপার এ,বি,এম মাসুদ হোসেনের দিকনির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) সনাতন চক্রবর্তীর তত্তাবধানে এবং জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক আতিকুর রেজা সরকারের নেতৃত্বে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে একটি টিম সোমবার গভীর রাতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে পুঠিয়া বানেশ্বর পূর্বপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
তারা বানেশ্বর টু চারঘাট রাস্তার পূর্ব পাশের রাস্তার উপর একটি মোটরসাইকেলে যাচ্ছিল। পরে তাদের শরীর তল্লাশি করে ৪০০ গ্রাম হেরোইন, একটি পিস্তল, দুইটি ম্যাগাজিন ও চার রাউন্ড তাজা গুলি পাওয়া যায়। এছাড়া তাদের বহন করা মোটর সাইকেলটিও জব্দ করা হয়েছে ।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক আতিকুর রেজা সরকার বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ও রাজশাহীর বিভিন্ন জায়গায় মাদক সরবরাহ করে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা ও মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
তিনি বলেন, গত ১৫ মার্চ সন্ধ্যার দিকে চারঘাটের শলুয়া ইউনিয়নের তাতারপুর মন্ডলপাড়া গ্রামে শাহাবাজ আলী নামে এক কৃষক কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি এলাকায় মাদক কারবারের প্রতিবাদ করেছিলে। সেই হত্যা মামলায় কামাল এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি। আর সাব্বির ওই মামলার ৩নং আসামি।
এলাকাবাসীরা জানান, রাজশাহীর চারঘাট গত ২ মাসে ৫ খুনের মধ্যে ৪ খুনের সাথে সরাসরি জড়িতো মাদকের গডফাদার সাব্বির ও কামাল। এদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। তাদের সহযোগি ইউনুসের তাঁতারপুর গ্রামে মাদক বিক্রির ভিডিও ভাইরাল হয়। এদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, নিরিহ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে।