1. admin@crimenews24.net : cn24 :
  2. zpsakib@gmail.com : cnews24 :
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
পুরাতন সাতক্ষীরা মোড়ে গণআন্দোলন জোটের পথসভা মৌলভীবাজারে যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ফ্রী চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিত  মৌলভীবাজারে পুলিশ সুপার’র সাথে সাংবাদিকদের  মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  সিরাজগঞ্জ বেলকুচিতে বেসরকারি ৩ ক্লিনিকের দুই লাখ টাকা জরিমানা  আলমডাঙ্গায়  সংবাদ সম্মেলন করেছে ফিড ব্যাবসায়ী বাবুলার রহমান নারায়ণগঞ্জে আন্তর্জাতিক সিসা দূষণ প্রতিরোধ সপ্তাহ উপলক্ষে তরুণদের র‍্যালি, মানববন্ধন তানোর মহিলা ডিগ্রি কলেজের এডহক কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  তানোরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ বহাল রাখতে নড়াইলে ইউপি চেয়ারম্যানের স্মারকলিপি প্রদান রায়পুর, হাসাদহ এবং  কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্প আকস্মিক পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার

কোটচাঁদপুরে ছোট ভাইকে মামলা দিয়ে ফাঁসাতে  গিয়ে বড় দুই ভাই এখন নিজেরাই জেলহাজতে!

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৭ মে, ২০২২
  • ৯৫ বার নিউজটি পড়া হয়েছে

ছোট ভাইকে ফাঁসাতে  গিয়ে ফেঁসে গেছেন বড় দুই ভাই। এরা হলেন ঝিনাইদহের কোটচঁাদপুর উপজেলার সলেমানপুর বাজারপাড়ার বাসিন্দা এটিএম মুসা’র ছেলে, উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক আহবায়ক ও কোটচঁাদপুর ওয়াকফ ষ্ট্রেটের সাবেক মোতোয়াল্লী মাসুদ রানা পলাশ (৫৪) ও আওয়ামীলীগ নেতা সোহেল রানা (৫২)। তাদের ছোট ভাই হচ্ছেন পারভেজ রানা বাবু (৪০)। বড় দুই ভাই ছোট ভাই পারভেজ রানার বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির মামলা করেন। আদালতের বিচার শেষে সেই মামলা মিথ্যা প্রমান হয়। আর মিথ্যা মামলা করে ছোট ভাইকে হয়রানী অভিযোগে আদালতের নির্দেশে বড় দুই ভায়ের নামে পৃথক দুইটি মামলা রুজু করা হয়েছে। যে মামলায় তারা দুইভাই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। ছোট ভাই পারভেজ রানা বাবু জানান, তারা তিন ভাই আর দুই বোন। বড় ভাই মাসুদ রানা ব্যবসার প্রয়োজনে তার নিকট থেকে ২০১৬ সালে ১৭ লাখ টাকা ধার হিসেবে গ্রহন করেন। পাশাপাশি বড় ভায়ের কোনো ব্যাংক একাউন্ট না থাকায় ব্যবসা পরিচালনার স্বার্থে দুইটি একাউন্টের ৪ টি চেকের পাতা নেন। শুধুমাত্র ব্যবসার প্রয়োজনে এই চেকের পাতা তিনি ব্যবহার করার কথা ছিল। ২০১৬ সালের ২ জুন তাদের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি ব্যবসায়ীক চুক্তিও হয়। তিনি আরো জানান, তাদের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছিল সেখানে উল্লেখ ছিল এই চেকের পাতা বড় ভাই ব্যবসায়ীক কাজে ব্যবহার করবেন, ব্যাবহার না হলে ফেরত দিবেন। আর ধারের টাকা দেড় বছর পর ফেরত দিবেন। পারভেজ রানা জানান, তাদের দুই ভায়ের মধ্যে এই চুক্তি থাকার পরও বড় ভাই মাসুদ রানা ধারের ১৭ লাখ টাকা না দেওয়ার জন্য নানা ফন্দি আটতে শুরু করেন। প্রথমে টাকা ফেরত দেবেন না বলে নানা স্থানে প্রচার দেন। পরে ২০১৮ সালের ৩১ মে বড় ভাই মাসুদ রানা নিজে একটি চেকের পাতা ব্যবহার করে ৯ লাখ ১৫ হাজার টাকা পাওনা দেখিয়ে ও মেঝো ভাই সোহেল রানাকে দিয়ে আরেকটি চেকের পাতায় ৮ লাখ টাকা মোট ১৭ লাখ ১৫ হাজার টাকা পাওনা দেখিয়ে ঝিনাইদহ আদালতে দুইটি মামলা করেন। পারভেজ রানা’র বিরুদ্ধে করা দুইটি মামলা চলাকালে বাদিপক্ষ আদালতে মিথ্যা সাক্ষি দেন এবং কিছু জাল কাগজপত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে বিচার শেষে মামলা দুইটি মিথ্যা প্রমানিত হয়। ঝিনাইদহ যুগ্ম দায়রা জজ-১ এর বিচারক মোঃ মাসুদ আলী সম্প্রতি মামলার রায় ঘোষনা করেন। রায়ে মিথ্যা সাক্ষি দেওয়া ও জাল কাগজপত্র আদালতে দাখিলের অপরাধে আদালত বাদি হয়ে দুই ভায়ের বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেন। যে মামলা দুটিতে বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন। এছাড়া আদালত ছোট ভাই পারভেজ রানা’র দায়েরকরা মামলায় বড় ভাই মাসুদ রানা’র ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৩ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। পারভেজ রানা জানান, তাকে ফঁাসাতে গিয়ে বড় দুই ভাই নিজেরাই ফেঁসে গেছেন। এখন কারাগারে বসে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকী দিচ্ছেন। তিনি ভাইদের হয়রানী করতে চাননি, তাদের হয়রানীর হাত থেকে বঁাচতে মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলায় বড় ভায়ের সাজা হয়েছে। কিন্তু তারা ছোট ভাইকে ফঁাসাতে যে মামলা করেছিল সেই মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন। তাদের জালিয়াতির কারনে আদালত নিজেই বাদি হয়ে দুই ভায়ের নামে দুইটি মামলা করেছেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর ....
© All rights reserved © 2022 crimenews24.net
Design & Developed By : Anamul Rasel