ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু থেকে কৌশলে চুরি যাওয়া ইজিবাইক মাগুরা সদর উপজেলার দেফুলিয়া গ্রাম থেকে মাগুরা থানা পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার করেছে হরিণাকুন্ড থানার এস,আই সাইফুল ইসলাম। চুরি মামলার প্রধান আসামী খাইরুল বাশার খোকনকে ঢাকা সাভার থেকে গ্রেপ্তারের পর তার দেওয়া তথ্যমতে ক্রয়সুত্রে বাকি দুই আসামীকে মাগুরা সদরের দেফুলিয়া গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রবিবার(১৫ মে) সকালে থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, গত ১০ এপ্রিল সন্ধায় ঝিনাইদহ থেকে হরিণাকুন্ড ফেরার পথে হামিরহাটি গ্রামের পাকা রাস্তার উপর থেকে পৈলানপূর গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে ইজিবাই মালিক ও ড্রাইভার সেহাগকে ফঁাকি দিয়ে ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। ১৩ এপ্রিল সোহাগ বাদী হয়ে হরিণাকুন্ড থানায় মামলা করে যার নং ০৮, তাং- ১৩/০৪/২০২২ ইং, ধারাঃ ৩৭৯ পেনাল কোড। এছাড়াও চোর চক্রের প্রধান ও মামলার প্রধান আসামী উপজেলার ফলসী ইউনিয়নের শড়াতলা গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে খায়রুল বাশার খোকন ১০ এপ্রিল সকালে শাখারীদহ বাজার থেকে সোহাগের ইজিবাইক ভাড়া করে ঝিনাইদহ ইজিবাইক কেনার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় সারাদিন ঝিনাইদহে বিভিন্ন স্থানে ঘুরাঘুরির পর পূনরায় বিকালে খোকন হরিণাকুন্ডর শড়াতলা গ্রামে নিজ বাড়ীতে এসে টাকা নিয়ে পূনরায় ঝিনাইদহে ফিরে যায়, পরবর্তীতে একই দিন সন্ধা রাতে ঝিনাইদহ থেকে হরিণাকুন্ডু ফেরার পথে হামিরহাটি গ্রামে মাঠের মাঝে পাকা রাস্তার উপরে পৌছালে ড্রাইভার সোহাগ প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে একটু পাশে গেলেই খোকন ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস,আই সাইফুল ইসলাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ১৪ মে আসামী খোকনকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে এএসআই শরিফুল ইসলাম সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঢাকায় রওনা দেয় এবং ঐ দিন রাতে ঢাকা সাভারের গেন্ডা বাজারের ওভার ব্রীজের নিচে থেকে প্রধান আসামী খোকনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে ঐ রাতেই মাগুরা সদর উপজেলার দেফুলিয়া গ্রাম থেকে কালাম বিস্বাসের ছেলে হাসান বিস্বাসকে গ্রেপ্তার করে এবং তার দেওয়া তথ্যমতে একই গ্রামের সম্পর্কে আত্মীয় সামাদ আলীর ছেলে আজিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে এবং তার বাড়ী থেকে চুরি যাওয়া ইজিবাইক উদ্ধার করে তিন আসামীকে নিয়ে হরিণাকুন্ড থানায় ফিরে আসে। গ্রেপ্তারকৃত তিন আসামীকে রবিবার দুপুরে ঝিনাইদহ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।