রাজশাহী জেলার বাঘায় পদ্মার চরের পেয়ারা বাগান থেকে সেন্টু আলী (৫০) নামের এক প্রহরীর লাঁশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের সুলতানপুর পদ্মা নদীর মধ্যে আখক্রয় কেন্দ্রের পাশে এক পেয়ারার বাগান থেকে এই লাঁশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত সেন্টু উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের মৃত আজের উদ্দিন চৌকিদারের ছেলে। সেন্টু আলী বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়। তারপর আর বাড়ি ফিরেনি। বিভিন্নস্থানে খোঁজ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
শনিবার সকালে সুলতানপুর পদ্মা নদীর মধ্যে আখক্রয় কেন্দ্রের পাশে আবদুল খালেকের পেয়ারা বাগানে দুই শ্রমিক আছান আলী ও আবদুল্লাহ কাজে যায়। এ সময় লাঁশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের মাধ্যমে পুলিশকে অবগত করা হয়। পরে বাঘা থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার ডান পা শেয়ালে খাওয়া কিছুটা ক্ষত অবস্থায় লাঁশ উদ্ধার করে।
নিহতের ভাগ্নে আকরাম হোসেন বলেন, মামা পদ্মার চরের মধ্যে আবাদ করা ফসল রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রহরী হিসেবে কাজ করতেন। তিনদিন পর লাঁশ পাওয়া গেল মাঠে। কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে, এ বিষয়ে কিছু বুঝতে পারছিনা।
এ বিষয়ে তার স্ত্রী মাহমুদা বেগম বলেন, আমরা দরিদ্র মানুষ। আমার স্বামী মাঠ প্রহরী হিসেবে কাজ করে। এক ছেলে ও দুই মেয়েকে অন্যত্রে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রহরী হিসেবে যা পায় আমরা দুইজন স্বামী-স্ত্রী কোনো রকম দিন চলে। তবে হত্যার কারণ হিসেবে কিছুই জানাতে পারেনি তিনি।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঁশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।