শুক্রবার সকাল সোয়া আটটার সময় বিস্ফোরক দ্রব্য ও নাশকতার মামলায় সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়তের আমীর মাওলানা শাহীনুর আলম ও জেলা ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি মোঃ তরিকুল ইসলাম সহ জেলা জামায়ত ও ছাত্রবিরের শীর্ষ ১৫ নেতা।
মুক্তিপ্রাপ্ত অন্যরা হচ্ছেন, শহর শিবিরের সেক্রেটারী মোঃ ইমরান হোসেন,জেলা সেক্রেটারী -মোঃ আলহাজ উদ্দিন,জেলা অফিস সেক্রেটারী মোঃ আব্দুল আজিজ জেলা প্রকাশনা সেক্রেটারী মোঃ আইয়ুব আলী,জেলা সদস্য মোঃ মনিরুল ইসলাম, এনায়েতপুর থানা শিবিরের সাবেক সভাপতি মোঃ আব্দুস সালাম,এনায়েতপুর থানা শিবিরের সভাপতি মোঃ জাকারিয়া হোসেন,
শাহজাদপুর পশ্চিম থানা সেক্রেটারী মোঃ রবিউল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ রোড থানা সভাপতি মোঃ আবু বকর,সলঙ্গা থানা সভাপতি সোয়াইব হোসেন,সলঙ্গা থানা সেক্রেটারী, শরিফুল ইসলাম,উল্লাপাড়া কামিল মাদ্রাসা সভাপতি আল-আমিন হোসেন ও
উল্লাপাড়া কামিল মাদ্রাসা সেক্রেটারী হাফেজ মনিরুল ইসলাম।
আইনজীবী এ্যাডভোকেট আবু তালেব আকন্দ ও অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান,মুক্তিপ্রাপ্তরা মহামান্য হাইকোট থেকে জামিন লাভ করলে বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জ বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মোঃ নাজির তাদেরকে মুক্তির নির্দেশ দেন।
কারাগার থেকে মুক্তির পর সেখানে তাদেরকে স্বাগত জানান জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম, শহর শিবির সভাপতি আতিকুর রহমান, জেলাশিবিরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইকবাল কবির সহ আরো অনেকে। এ সময় মুক্তিপ্রাপ্ত জেলা জামায়তের আমীর মাওলানা শাহীনুর আলম বলেন,পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে আমরা এক সাথে ইফতার মাহফিলে ছিলাম,আমাদের হাতে ছিল ইফতার সামগ্রি, আমাদেরকে গ্রেফতার করে মিথ্যা মামলা দেয়।
উল্লেখ্য পুলিশের ভাষ্যমতে গত ৩ এপ্রিল রাতে শহরের সয়া ধানগড়া মধ্যপাড়া মহল্লায় দারুল ইসলামী একাডেমিতে গোপন বৈঠকে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।এ সময় ১০টি ককটেল উদ্ধার করা হয়।
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-পরিদর্শক খোকন সাহা তখন জানিয়ে ছিলেন, দারুল ইসলামী একাডেমিতে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা এসে নাশকতার উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠক করছিল। খবর পেয়ে রাতে সেখানে অভিযান চালিয়ে ১৫ জনকে আটক করা হয়। সে সময় ঘটনাস্থল থেকে ১০টি ককটেল বোমা উদ্ধার ও ৫টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।