ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের নতুন সভাপতি হয়েছেন শামীম হক এবং সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক আরিফ। জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে নতুন এ কমিটি ঘোষণা করেন প্রেসিডিয়াম মেম্বার কাজী জাফরুল্লাহ।
দিনব্যাপী সম্মেলন শেষে সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন তিনি।সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে সভাপতিত্ব করেন কাজী জাফরুল্লাহ। এ সময় তিনি বলেন,দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অনুসারে নতুন কমিটির এই দুই নেতার নাম ঘোষণা করা হলো।
এর আগে সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বের শুরুতে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে ১০ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ২১ জন পদপ্রত্যাশীর নাম ঘোষণা করেন। তাদেরকে নিজেরাই আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা করে একজন করে প্রার্থী চূড়ান্ত করার জন্য কিছু সময় দেয়া হয়। তবে তারা নিজেদের মধ্যে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় নতুন নেতা নির্বাচনে ব্যর্থ হলে কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর দ্বায়িত্ব দেন। এরপর দলীয় প্রধানের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন কাজী জাফরুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার সকাল হতে শহরের রাজেন্দ্র কলেজের ময়দানে এ ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের প্রথম পর্বে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।
বেলা পৌনে ১২টার দিকে ভার্চুয়ালি সম্মেলনের উদ্বোধন করেন দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ঢাকার বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি তিনি এ সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তৃতা দেন।সম্মেলনের প্রথম পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার কাজী জাফরুল্লাহ।বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রেসিডিয়াম মেম্বার ড. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শাজাহান খান এমপি ও আব্দুর রহমান, আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কামাল হোসেন, বিএম মোজাম্মেল, দফতর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, কার্যনির্বাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজি, ইকবাল হোসেন অপু এমপি, সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম এমপি, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন ও একে আজাদ, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদারসহ জেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা। সভা সঞ্চালন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন। ১৮ জন কেন্দ্রীয় নেতা সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।সকালে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের পর শান্তির প্রতিক পায়রা উত্তোলনের পর পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এবং গীতা ও বাইবেল পাঠের মাধ্যমে বেলা পৌনে ১২টার দিকে সম্মেলনের শুরু হয়। এরপর শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।সম্মেলনে সকাল থেকে জেলা শহরের বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়াও সকল উপজেলা ও পৌরসভা হতে নেতাকর্মীরা সম্মেলনে মিছিল সহকারে যোগ দেন। এতে লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে শহরের রাজেন্দ্র কলেজের ময়দান। বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার হাজার নেতাকর্মী সম্মেলনে পৌছেন। সম্মেলন উপলক্ষে শহরের বাইরে থেকে সব ধরনের যানবাহন প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় এ উপলক্ষে।
সম্মেলনের উদ্বোধনকালে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সরকারের উন্নয়ন দেখেনা তারা দিনের আলোতে অন্ধকার দেখে। সরকারের উন্নয়ন তাদের চোখে পড়েনা। আওয়ামী লীগ নয় জনগণ মনে করে আন্দোলনে ব্যর্থতার জন্য নির্বাচনে ব্যর্থতার জন্য বিএনপির টপ টু বটম নেতৃবৃন্দের পদত্যাগ করা উচিত।
তিনি বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জনগণ চাতকের মতো চেয়ে আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জুনের শেষের দিকে বহু প্রতিক্ষিত পদ্মা বহুমুখী সেতুর উদ্বোধন করবেন।
তিনি বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধনের পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু তৈরির ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এ বিষয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।