পরকীয়া প্রেম ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়ে আত্মহত্যা। ঘটনাটি ঘটেছে নড়াইল সদর উপজেলার সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নে সিঙ্গে গ্রামে। ঘটনা স্থলে থাকা তমা
বেগম বলেন, মিতালি তার স্বামীর ঘর ছেড়ে দিয়ে সন্তান নিয়ে তার বাবার বাড়ি থাকতেন। সেই সুবাধে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন পার্শ্ববর্তী গ্রামের আহাদ মোল্যার সহিত। তাদের সাথে দৈহিক মেলামেশার ফলে গর্ভবতী হয়ে পড়েন মিতালি। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে লোকলজ্জার ভয়ে গত( ৫ এপ্রিল ) মঙ্গলবার বাজার হতে বন মরা ঔষধ ও কাফনের কাপড় কিনে প্রতিবেশী তমা বেগমের বাড়িতে চলে আসে। তমা বুঝতে পেরে সাথে সাথে মিতালি বেগমের মা আনোয়ার ডেকে এনে বিষয়টি বললে তার মায়ের সামনে গালে বন মরা ঔষধ ডেলে খেয়ে নেন মিতালি ।তখন দ্রুত তাকে ধরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ( ৬ এপ্রিল) বুধবার মিতালি বাড়ি চলে আসে। পুনরায় সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় সাথে সাথে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। (৯ মে) সোমবার মিতালিকে খুলনা হাসপাতালে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। পরবর্তীতে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে বাড়িতে এনে তাকে দাফন করা হয়।
তমা বেগম আরো বলেন, ইউনিয়নের একটি প্রভাবশালী মহল বিষটি ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করে মিতালির পরিবারের সহিত যোগসাজশে আমাদের নিকট মোটা অংকের টাকা দাবি করছে। তারা বলছে তোমাদের বাড়িতে মারা গেছে। মিতালী তোমার কাছে টাকা পাবে তুমি টাকা না দিলে তোমার নামে মামলা করা হবে। এ নিয়ে আমি ও আমার পরিবার দুঃচিন্তায় দিন কাটাচ্ছি। আমাকে আমার স্বামীর সংসার ভাঙ্গার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে।।
এ বিষয়ে জানতে মিতালি বেগমের মা বলেন, পাশের বাড়ি তমা ডাকলে আমি দৌড়ে গিয়ে দেখি সে গালে বিষ ডেলেছে। আমার তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু তাকে বাঁচাতে পারিনি।