সারাদেশে ঈদের আগে ও পরে ১২ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে নিহত হয়েছেন ৫৬ জন। আহত হয়েছেন ২৬৪ জন। অর্থাৎ ১২ দিনে মোট নিহত হয়েছেন ৬৮১ জন এবং আহত ২ হাজার ৭৭ জন।
মঙ্গলবার (১০ মে) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে সেভ দ্য রোড নামের একটি সংগঠন।
২৮টি জাতীয় দৈনিক, কয়েকটি সংবাদ সংস্থা এবং টেলিভিশনের তথ্য এবং সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ঈদে নিয়ম না মানা ও হেলমেট ব্যবহারে অনীহার কারণে ১ হাজার ৬১৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ৯৬৮ জন আহত ও ১৯০ জন নিহত হয়েছেন।
অসাবধানতা ও ঘুমন্ত চোখে-ক্লান্তিসহ দ্রুত চালানোর কারণে ৪০৭টি ট্রাক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩২১ জন এবং নিহত হয়েছেন ১৬৮ জন।
খানাখন্দ, অচল রাস্তাঘাট ও সড়কপথে নৈরাজ্যের কারণে ৪৬৭টি বাস দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩১০ জন এবং নিহত হয়েছেন ১৫৪ জন।
লরি-পিকআপ-নসিমন-করিমন-ব্যাটারিচালিত রিকশা-সাইকেল ও সিএনজি দুর্ঘটনা ঘটেছে ৬৮৬টি। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৪৭৮ জন এবং ১৬৯ জন নিহত হয়েছেন।
সংগঠনের মহাসচিব শান্তা ফারজানা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে টিকিটের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দুই থেকে তিনগুণ ভাড়া বাড়ানোর অপচেষ্টা করে একটি কুচক্রি মহল। আর এতে সম্পৃক্ত ছিল সরকারি দলের নেতাকর্মী ও পুলিশ-প্রশাসনের একটি বড় অংশ।
ঈদযাত্রা ও ফেরাকে কেন্দ্র করে ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি করে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেললেও পুলিশ-প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করেছে অভিযোগ করে সংগঠনটি প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করে।