র্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংগঠিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগনের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৬, যশোর ক্যাম্প এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন নীলগঞ্জ শ্বশানপাড়ার একটি কারখানায় অস্বাস্থ্যকর ভাবে হলুদ ও মরিচের গুড়া তৈরি করে বাজারজাত করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অদ্য ০৮ মে ২০২২ তারিখ বেলা ১১.৩০ ঘটিকা হইতে ১৩.৪০ ঘটিকা পর্যন্ত র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, যশোর এর সমন্বয়ে আভিযানিক দলটি যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন নীলগঞ্জ শ্বশানপাড়া রবিন্দ্রনাথ বিশ্বাসের হলুদ ও মরিচের গুড়া তৈরির কারখানায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে উক্ত কারখানার মালিক ১। রবিন্দ্রনাথ বিশ্বাস(৫৯), পিতা-মৃত চান্দপদ বিশ্বাস সাং-বেজপাড়া, ২। দিলীপ অধিকারী(৫৮), পিতা-মৃত শ্রীতল চন্দ্র অধিকারী, সাং-বারান্দী মোল্যা পাড়া, উভয় থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-যশোরদ্বয়’কে মাছের খাবার সহ বিভিন্ন প্রকার ক্ষতিকর রং মিশিয়ে অস্বাস্থ্যকরভাবে হলুদ ও মরিচের গুড়া তৈরি করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪২, ৪৩ ধারায় মোট ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও জব্দ তালিকা মূলে ২০০ কেজি মাছের খাবার ও ৫ কেজি বিভিন্ন প্রকার ক্ষতিকর রং জব্দ করা হয়।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদ্বয় মোবাইল কোর্টের জরিমানার অর্থ তাৎক্ষণিকভাবে স্বেচ্ছায় পরিশোধ করেন। পরবর্তীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জরিমানা বাবদ আদায়কৃত অর্থ বিধি মোতাবেক সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করেন এবং জব্দকৃত মাছের খাবার ও ৫ কেজি বিভিন্ন প্রকার ক্ষতিকর রং ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয়েছে।