রবিবার ৮ মে মৌলভীবাজার শহরের পশ্চিমবাজার, জুগিডর, সিলেট রোড, সেন্ট্রাল রোডসহ বিভিন্ন জায়গায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তদারকি কার্যক্রমের মাধ্যমে অন্যান্য উপজেলায় ফোনের মাধ্যমে এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বর্তমানে মৌলভীবাজারে ডিলার এবং পাইকারী ব্যবসায়ীদের ভোজ্য তেল সয়াবিনের মজুদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
জেলা ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ আল আমীন সরজমিন গিয়ে এবং তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী উক্ত ডিলার এবং পাইকারী ব্যবসায়ীদের কাছে অল্প পরিমাণ তেল মজুদ আছে বলে জানতে পারেন।
কারো কাছে মোটেও নেই-যেমন বসুন্ধরার ডিলার শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত জননী ষ্টোর বা কুলাউড়ায় অবস্থিত সাইদুল এন্টারপ্রাইজ যাদের কাছে তেল নেই। জেলা শহরে অবস্থিত পাইকারী ব্যবসায়ী রিফাত ফুড বা মৌলভী ক্যাশ এন্ড ক্রেডিট, সোহেল এন্টারপ্রাইজ, যারা তীর এবং রুপচাঁদার ডিলার, তাদের কাছেও তেল নেই। বড়লেখা উপজেলায় অবস্থিত সামছু ভেরাইটিজ ষ্টোরে আছে ১হাজার ৩০০ লিটার, মেসার্স সালাউদ্দিন ষ্টোরে আছে ৩হাজার লিটার, লিটন এন্টারপ্রাইজে আছে ২শ লিটার, শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত কুসুম বাণিজ্যালয় যার কাছে আছে ১শ ৮০ লিটার তারা সবাই পাইকারী ব্যবসায়ী। আবার তেলের ডিলার হিসাবে আছে বড়লেখার ইমরান ষ্টোর, কুলাউড়ায় জাহাঙ্গির ষ্টোর, জেলা শহরে ইকবাল এন্টারপ্রাইজ, শ্রীমঙ্গলে মেসার্স কদর আলী ষ্টোর, বড়লেখায় রাজুল ট্রের্ডাস।
যাদের কাছে তেল মজুদ আছে যথাক্রমে ২শ লিটার, ৩শ লিটার, ১শ৪০ লিটার, ১শ লিটার, ১হাজার ১শ ২০ লিটার। পাশাপাশি শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত সরুবিন্দ এন্ড ব্রাদার্স যিনি তেলের ডিলার তার কাছে আছে ৪ হাজার ৫শ লিটার লুজ পাম ওয়েল। সামগ্রিক দিক পর্যালোচনা থেকে দেখা যায় মৌলভীবাজারে ভোজ্য তেলের সঙ্কট আছে যদিও ডিলার বা পাইকারী ব্যবসায়ীরা ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরকে জানিয়েছে আজ কোম্পানিগুলো তাদের কাছে থেকে তেলের অর্ডার নিয়েছে । আগামী দুই একদিনের মধ্যে তেলের চালান চলে আসবে। ভোক্তা অধিদপ্তরের তদারকি কার্যক্রমে দেখা যায় প্রত্যেক খুচরা দোকানে পর্যাপ্ত তেল না থাকলেও কিছু পরিমান তেল আছে । মৌলভীবাজারের সকল শ্রেণীর ব্যবসায়ীকে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের মাধ্যমে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে নতুন দামে তেল আসার আগ পর্যন্ত আগের তেল আগের দামেই বিক্রি করার জন্য । আগের দামের তেল নতুন দামে কোন ব্যবসায়ী বিক্রি করলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তররের প্রমাণসহ লিখিত অভিযোগ করা যাবে বলে উক্ত অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: আল আমিন জানান।
এছাড়াও উক্ত তদারকি অভিযানে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ ও খাদ্য পণ্য বিক্রয় করার দায়ে শহরতলীর জুগিডরে অবস্থিত মেসার্স রোজমিলা ফার্মেসীকে ২ হাজার টাকা, সিলেট রোডে অবস্থিত শাহ মোস্তফা ষ্টেশনারীকে ১ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও তা আদায় করা হয়।
পরিচালিত অভিযানে ২ টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ৩ হাজার টাকা জরিমানা ও তা আদায় করা হয়। তেলের সরবরাহ সঠিক থাকা এবং ভোক্তা পর্যায়ে ন্যায্য দামে তেল পৌঁছাতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর তদারকি কার্যক্রম চলামন থাকবে।
রবিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ আল আমীন।
এ জাতীয় আরো খবর ....