গভীর রাতে মায়ের সাথে প্রতিবেশী চাচা গার্মেন্টস কর্মী রমজান প্রামাণিক (৩৫) কে দেখে কৌশলে ধরিয়ে দিল ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ে।
ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের নগরডালা উত্তরপাড়া গ্রামে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রোজিনা বেগম (৩৬) নামের সেই নারী ও তার পরকীয়া প্রেমিক রমজানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
জানা যায়, শাহজাদপুর পৌর শহর সংলগ্ন করতোয়া সেতুর পূর্ব পারে নগরডালা উত্তরপাড়ার পুলিশ সদস্য আলমামুন বাবু প্রামানিকের স্ত্রী রোজিনা বেগমের প্রতিবেশী গার্মেন্টস কর্মী রমজান প্রামানিকের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। পুলিশ সদস্য বাবু ও রোজিনা দম্পত্তির ঘরে ১৫ বছর বয়সী এক মেয়ে ও ১০ বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে।
প্রতিবেশীরা জানায়, আলমামুন বাবু পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদ উদযাপন করে গতকাল বৃহস্পতিবার কর্মস্থল গাজীপুর চলে যায়। পরে মাঝ রাতে তাদের মেয়ে মা রোজিনা বেগমের সাথে রমজানকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায়। কৌশলে প্রকৃতির ডাকে সারা দেওয়ার কথা বলে ঘরের বাইরে যায় মেয়ে মিম।
পরে দাদা সফর প্রামানিক ও দাদিকে বিষয়টি জানায় মিম, ঘটনা শুনে ছেলের বৌ রোজিনা বেগমের ঘরে গিয়ে তল্লাসী করে খাটের নিচ থেকে রোজিনা বেগমের পরকীয়া প্রেমিক রমজানকে ধরে ফেলে তারা। পরে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে দুজনকেই আটকে রাখে।
শুক্রবার সকালে খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরে গৃহবধু রোজিনা বেগম ও তার পরকীয়া প্রেমিক রমজানকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
এই বিষয়ে পরকীয়া প্রেমিক রমজান বলেন, রোজিনার সাথে তার প্রায় ৮ বছর যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক, প্রায় ৩ বছর পূর্বে তারা একে অপরের হাত ধরে অজানার উদ্দেশ্যে পারি জমিয়েছিল। সেখানে তারা বিয়ে করে বেশ কিছুদিন সংসার করেন। পরে এলাকার মানুষের চাপে রোজিনাকে ডিভোর্স দিতে বাধ্য হয় এবং রোজিনার পুলিশ স্বামী বাবুর সাথে আবারও বিয়ে হয়।
শাহজাদপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়েই সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থালে উপস্থিত হই। পরে রোজিনা বেগম ও রমজান প্রামানিককে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়, তাদের বিরুদ্ধে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।