দিনভর ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে, স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলেন আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোলাম সরোয়ার মিঠু।ব্যাপক দূর্নীতি ঘুষ ও অনিয়মের অভিযোগে আলমডাঙ্গা কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা বেশ কয়েক মাস ধরেই সরব ছিলেন সোশ্যাল মিডিয়াতে।পরে বিষয়টি স্থানীয় পত্রিকার,,জাতীয় দৈনিকে ফলাও করে ছাপা হয় তারপরও কোনো ভ্রুক্ষেপ করেনি প্রশাসন।এই পরিস্থিতিতে ছাত্র-ছাত্রীরা প্রকাশ্য আন্দোলনে যেতে বাধ্য হয়। আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে শত শত আন্দোলনরত ছাত্র ছাত্রী জমা হতে থাকে এবং বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ব্যানার নিয়ে আন্দোলনের সমর্থনে মিছিল স্লোগান ও বক্তৃতা দিতে থাকে। বেলা যতই বাড়তে থাকে আন্দোলন গতি ততই বাড়তে থাকে, এক পর্যায়ে সকল সাধারণ শিক্ষক কর্মচারী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিপক্ষে অবস্থান নেয় আন্দোলনরত ছাত্রদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করলে পরিস্থিতি আরো সংকটাপন্ন হয়ে যায়। অবস্থায় উপজেলা প্রশাসন ও শিক্ষা অফিসারের হস্তক্ষেপে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদত্যাগ করতে সিদ্ধান্ত নিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বিকাল ৫ টার পরে তার পদত্যাগপত্র উপজেলা প্রশাসন জনাব রনি আলম নুরের কাছে জমা দেন। উল্লেখ্য যে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জনাব গোলাম সরোয়ার মিঠুর (উনার সিনিয়র ৪ জন শিক্ষককে ডিঙিয়ে উনি এই পদে অধিষ্ঠিত হন) বিরুদ্ধে বিভিন্ন কোচিং বাণিজ্য, বিএম শাখার টাকা উত্তোলন, প্যাকটিক্যাল মার্কের জন্য টাকা উত্তোলনের, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দুর্নীতি অভিযোগ করে আসছে সাধারণ ছাত্র ছাত্রী।রফিক, ফয়সাল, বাদশা, আশরাফুলসহ,ছাত্রনেতা সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। ছাত্রছাত্রীরা জন্য আলমডাঙ্গা কলেজে কোন দুর্নীতি এবং অনিয়মকে তারা প্রশ্রয় দেবেন না।