জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে মধ্যযুগীয় কায়দায় শেফালী খাতুন নামে এক গৃহবধুকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে । এদিকে ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে কামারখন্দ থানা পুলিশ ওই গৃহবধুকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে। অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (৩ মে ২০২২) ঈদের দিন বিকেলে কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়নের চৈরগাঁতী পূর্বপাড়া গ্রামে।
অভিযোগে জানা যায়,কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়নের চৈরগাঁতী পূর্বগ্রামের মৃত ওসমান শেখ পুত্র নজরুল ইসলাম (৪৫) এর সাথে একই গ্রামের শামসুল আলম এর সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এদিকে চলমান সেই বিরোধের জেরধরে সোমবার (২ মে ২০২২) শামছুল আলমের পুত্র নাসির উদ্দিন (২১) কে মারধর করে নজরুল ইসলাম। কিন্তু এতেও ক্ষ্যান্ত না হয়ে মঙ্গলবার (৩ মে ২০২২) ঈদুল ফিতরের দিন বিকেল পৌনে ৫টার দিকে নজরুল ইসলাম (৪৫), হাফিজুল সেখ (৩৮) মাহমুদুল সেখ (৩৫) রাশিদুল সেখ(৩০) হাফিজুল এর ছেলে মেরাজ সেখ (১৮), নজরুল ইসলাম এর স্ত্রী হাফিজা বেগম(৩৫), হাফিজুল এর স্ত্রী শাহানাজ বেগম(৩০), মাহমুদুল এর স্ত্রী তাসলিমা বেগম(২৮) ও রাশিদুল সেখ এর স্ত্রী তানিয়া বেগম (২৬) সংঘবদ্ধ হয়ে শামছুল আলম (৬০) নাজমা বেগম (৫০),শেফালী বেগম (২৭) ও নাসির (২১) কে বেধরক মারপিট করে, এমনকি একপর্যায়ে তারা শেফালী বেগম (২৭) কে বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে তাদের বসতবাড়ীর নারিকেল গাছের সাথে বেঁধে প্রায় ৪৫ মিনিট মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে। কিন্তু ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন শতচেষ্টা করেও যখন শেফালীকে তাদের রোষানল থেকে উদ্ধার করতে না পারে তখন তারা নিরুপায় হয়ে ৯৯৯ ফোন দেয়। পরে কামারখন্দ থানা পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে শেফালী বেগমকে মুমুর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
কামারখন্দ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাবিবুল্লাহ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে শেফালীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে,এখন আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।