মোঃ উজ্জ্বল আহমেদ…
মাধবপুরে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তরুণীর স্তন কেটে দিলো বখাটে
তরুণীর বাবা বলেন, ‘সেহরির সময় হাত-মুখ ধোয়ার জন্য ঘরের বাইরে টিউবওয়েলের কাছে গেলে আমার মেয়েকে সুমন মিয়াসহ কয়েকজন জাপটে ধরে। এক পর্যায়ে তারা ধারাল ছুরি দিয়ে দুই স্তনসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে।’
হবিগঞ্জে তরুণীর ওপর নৃশংস হামলা হয়েছে। কয়েক তরুণ কুপিয়েছে তাকে। এতে ওই তরুণীর কবজি, স্তনসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম হয়েছে। তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ছয়জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
ভোররাতে মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের মানিকপুর পূর্ব মহল্লা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল
ওই তরুণীর বাবা ছয় জনের নামে মাধবপুর থানায় মামলা করেছেন। মামলার পর বিষয়টি জানাজানি হয়।
১৯ বছর বয়সী ওই তরুণীর বাবা বলেন, ‘গ্রামের ২২ বছর বয়সী সুমন মিয়া প্রায়ই তার মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিত। প্রতিবারই মেয়ে প্রত্যাখ্যান করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে সুমন।
‘১৭ এপ্রিল ভোর রাতে মেয়ে সেহরি খাওয়ার জন্য ঘুম থেকে ওঠে। হাত-মুখ ধোয়ার জন্য সে ঘরের বাইরে টিউবওয়েলের কাছে গেলে সুমনসহ কয়েকজন মেয়েকে জাপটে ধরে। এক পর্যায়ে তারা ধারাল ছুরি দিয়ে দুই স্তনসহ মেয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। এতে সে গুরুতর আহত হয়।’
তিনি জানান, মেয়ের চিৎকারে পরিবারের সদস্য ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে চিকিৎসকরা তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসা শেষে সোমবার তাকে বাড়িতে নেয়া হয়েছে।
মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আহত তরুণীর বাবা ছয় জনের নামে মামলা করেছেন। তবে এই মুহূর্তে তাদের তরুণীর বাবা বলেন, ‘সেহরির সময় হাত-মুখ ধোয়ার জন্য ঘরের বাইরে টিউবওয়েলের কাছে গেলে আমার মেয়েকে সুমন মিয়াসহ কয়েকজন জাপটে ধরে। এক পর্যায়ে তারা ধারাল ছুরি দিয়ে দুই স্তনসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে।’