সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ২ কিলোমিটার রাস্তা নষ্ট করে অবাধে চলছে পুকুর খনন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় রায়গঞ্জ উপজেলার ৫ নং চান্দাইকোনা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের পাইকড়া গ্রামে প্রায় ৫ বিঘা ফসলি জমি নষ্ট করে পুকুর খনন করছে আব্দুর রাজ্জাক ও তার ছেলে রাশিদুল ইসলাম নামের প্রভাবশালী ব্যক্তি,
অবৈধভাবে ফসলী জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছেন স্থানীয় মাস্টার্স এন্ড সন্স (পিংকি)ইট ভাটায়।এদিকে অবৈধ ড্রাম ট্রাক দিয়ে পাইকড়া সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে মাটি নেওয়ায় ঝুঁকিতে রয়েছে কোমলমতি স্কুল শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির কথা এবং ড্রাম ট্রাকের ধুলোর বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ বারবার আব্দুর রাজ্জাক ও ইট ভাটা কর্তৃপক্ষকে বললেও কোন কাজে আসে নি।উলটো প্রবাভশালী আব্দুর রাজ্জাক বলেন,সব ম্যানেজ করেই মাটি কাটছেন তিনি।
স্কুল পড়ুয়া কমলমতি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের দাবি স্কুলের সামনে দিয়ে যেনো অবৈধ ড্রাম ট্রাক দিয়ে মাটি বহন না করা হয়। স্কুলের সামনে দিয়ে মাটি নেওয়ায় ঝুঁকিতে থাকতে হয় শিক্ষক সহ শিক্ষার্থীদের
এ বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রভাবশালী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই অনুমদন নিয়ে পুকুর খনন করছি,
গণমাধ্যম কর্মীরা অনুমোদন এর কাগজ দেখতে চাইলে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে যায় প্রভাবশালী আব্দুর রাজ্জাক ।
বিষয়টি রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৃপ্তি কণা মন্ডল কে অবগত করলে তিনি চান্দাইকোনা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী শিরাজুল ইসলাম কে অভিযান পরিচালনা করে পুকুর খনন বন্ধ করার নির্দেশ দেন।
পরে অভিযান পরিচালনা করে পুকুর খনন বন্ধ করেন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী , কিন্তু প্রভাবশালী আব্দুর রাজ্জাক প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আবারও চালু করেন পুকুর খনন,
বিষয়টি আবারো গণমাধ্যমকর্মীদের নজরে আসায় নির্বাহী কর্মকর্তা কে অবগত করলে তিনি উপজেলার ৫নং চান্দাইকোনা ইউনিয়ন এর এর চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান খাঁনকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন।
স্থানীয় চেয়ারম্যান গ্রাম পুলিশ আলহাজ্ব আলীকে পাঠিয়ে পুকুর খনন বন্ধ করে দেন,
সর্বশেষ গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন,আবারো যদি পুকুর খনন চালু করে তাহলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।