বাঘায় বেশি লাভের আশায় আমের গাছ কেটে জমিতে পুকুর খনন করা হচ্ছে।
ভূমি আইন অপেক্ষা করে অবাধে পুকুর খনন করায় কমে যাচ্ছে তিন ফসলী জমির পরিমাণ।
পাশাপাশি মাটির চাহিদা মেটাতে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে টপ সয়েল। বিক্রি করা এমাটি পরিবহনের ভারি ডামট্রাক ও ট্রাক্টরের চলাচলে নষ্ট হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার গ্রামীণ পাকা রাস্তা সড়ক। সরেজমিনে দেখা গেছে, বাঘা পৌরসভার নতুন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন উত্তর মিলিক, বাজুবাঘা ইউনিয়নের বার খাদিয়া, পাকুরিয়া, মনিগ্রাম ইউনিয়নের তুলসীপুর, আড়ানী ইউনিয়ন,বাউসা ইউনিয়নে ব্যাপক হারে পুকুর খননের মহোৎসব চলছে। পৌরসভার বলিহার,চাকিপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় পুকুর খননের হিড়িক পড়েছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাঘা উপজেলায় কৃষি জমির পরিমাণ ৩৭ হাজার ৯০৮ হেক্টর এর মধ্যে ৫ ফসলি ১৫০ হেক্টর ৪ ফসল ১০০০ হেক্টর ৩ ফসলি ৫০০০ হেক্টর ২ ফসলি ৮ হাজার ৪৭৯ হেক্টর ও
১ ফসলি ১২০০ হেক্টর
মোট ফসলী জমির পরিমাণ মোট ফসলি ৩৭৯০৮ ( রবি+ খরিপ-১,খরিপ-২) তিন মৌসুমে
নীট ১৫৮২৯ নিবিড়তা ২৩৯.৪৮% এ ছাড়া নিচুমানের জমিতে এক থেকে দুই ফসল আবাদ হয়ে থাকে এসব জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে খনন করা হচ্ছে পুকুর। ফলে কমে যাচ্ছে ফসলি জমির পরিমাণ।
বাঘা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মমিনুল ইসলাম বলেন, আমি আড়াই বিঘা জমিতে পুকুর খনন করছি লেবার দিয়ে। দশজনে যেভাবে খনন করছে আমিও ঐভাবেই মাটি কেটে বিক্রি করছি। তারাই সবাই ম্যানেজ করেই পুকুর খনন করছে। আপনারা তাদের সঙ্গে কথা বলুন আর এক প্রকার পুকুর মালিক শাকিল বলেন, জমিগুলো পরে ছিল তাই কিছু মাটি বিক্রি করা হচ্ছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, কোন কোন এলাকায় আওয়ামী লীগ,ছাত্রলীগের ভেকু মেশিন আবার কোথাও শ্রমিক লাগিয়ে মাটি কেটে ও ট্রেক্টর সাহায্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অনুমোদন ছাড়াই করা হচ্ছে এসব কাজ। জমির মালিককে অর্থের লোভ দেখিয়ে কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে টপসয়েল। দিনের বেলায় চুটিয়ে চলছে পুকুর খননের কাজ। এতে দিন দিন কমছে ফসলি জমির পরিমাণ। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে শস্য ভান্ডারের উপাধি হারাবে বাঘা উপজেলা। পুকুর খনন বন্ধ করার প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ নেই বললেই চলে। পাশের জমির মালিকরা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার একতিয়ার আমার নেই উপজেলার প্রশাসনিক সক্ষমতা দেওয়া হয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আপনারা তার সঙ্গে কথা বলুন জানতে চাইলে ইউএনও পাপিয়া সুলতানা বলেন, যারা পুকুর খনন করছে জমির মালিক অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।