ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে হেলমেটবিহীন চালকদের করা জরিমানার টাকা নিজের মোবাইল ব্যাংকিং নম্বরে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সার্জেন্ট পিযুশের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে ২০ জন ভুক্তভোগী রাণীশংকৈল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগকারী মোকসেদ আলী জানান, ট্রাফিক সার্জেন্ট মোটরসাইকেল চালকদের হেলমেট না পরার কারণে জরিমানা করে যে কাগজ চালকদের ধরিয়ে দেন ওই কাগজ নিয়ে নির্দিষ্ট একটি দোকান ছাড়া অন্য কোনো ‘উপায় এজেন্ট’র কাছে গেলে টাকা ইতিমধ্যে পরিশোধ হয়েছে দেখায়। পরে ওই মামলার কাগজ নিয়ে আবার পিযুশের বলে দেওয়া মোবাইল ব্যাংকিং ‘উপায় এজেন্ট’র কাছে গেলে মুহূর্তের মধ্যে টাকা পরিশোধ হয়ে যায়।
বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হলে স্থানীয়রা গোপনে আরও কয়েকটি মোটরসাইকেল মালিকের জরিমানা করা কাগজ পরীক্ষা করেন। এতে দেখা যায়, ওই মামলার টাকা সরকারি কোষাগারে না দিয়ে পিযুশের ব্যক্তিগত মোবাইল ব্যাংকিং নম্বরে পাঠিয়ে দেন ওই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট। এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে থানা এলাকা থেকে গোপনে সটকে পড়েন ট্রাফিক সার্জেন্ট পিযুশ। খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (রাণীশংকৈল সার্কেল) তোফাজ্জল হোসেন ঘটনাস্থলে আসেন। পরে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে থানায় কথা বলে তাঁর বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। এ সময় তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রাণীশংকৈল থানায় এক মাস ধরে বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে অবৈধভাবে গাড়ি আটক করে জরিমানা করছেন ট্রাফিক সার্জেন্ট পিযুশ। নিয়ম অনুযায়ী জরিমানার মামলার কাগজ দিয়ে মোবাইল ব্যাংকিং
উপায়ের যেকোনো এজেন্টের কাছে জরিমানার অর্থ পরিশোধ করার কথা। কিন্তু সার্জেন্ট পিযুশ এ টাকা নেওয়ার জন্য তিনি আগে থেকেই থানা-সংলগ্ন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এক দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলে রাখেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই দোকানদার বলেন, ‘আমি ট্রাফিক সার্জেন্টের কথা অনুযায়ী এ কাজ করেছি।’ এ বিষয়ে জানতে ট্রাফিক সার্জেন্ট পিযুশের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ বলেন, ‘ট্রাফিক সার্জেন্ট পিযুশের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে কিছু ভুক্তভোগী থানায় এসেছিল। বিষয়টি সার্কেল মহোদয় দেখছেন।’