শ্রীমঙ্গলে ১৭ দিন ধরে ১৭ বছরের এক কিশোরী নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এনিয়ে থানায় অভিযোগ দায়েরের পর থেকে অভিযোগকারী মাকেও খুঁজে পাচ্ছে না তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা।
নিখোঁজ কিশোরী হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার রেল ষ্টেশন এলাকার মৃত আহমদ আলীর কন্যা বলে জানা গেছে।
শনিবার দুপুরে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে কিশোরী নিখোঁজ হওয়ার এমন তথ্য দেন শ্রীমঙ্গল উপজেলার পশ্চিম লইয়ারকুল গ্রামের আব্দুল হান্নানের স্ত্রী রোজিনা আক্তার। রোজিনা বলেন, গত ২ মাস আগে তিনি হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ রেল-স্টেশন এলাকার মৃত আহমদ আলীর কন্যা (১৭) কে শ্রীমঙ্গল উপজেলার মাধবপাশা গ্রামের বাসিন্দা ও সাতগাঁও বাজারের চটপটি বিক্রেতা আব্দুল্লাহ মিয়ার বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে নিযুক্ত
করেন।
গত ২৯ মার্চ মেয়েটির মা রেহেনা বেগম মেয়েকে ফেরত নিতে এলে আব্দুল্লাহ জানান, সে চলে গেছে। এর পর থেকে মেয়েটি নিখোঁজ রয়েছে বলে জানান রোজিনা আক্তার। এ ঘটনায় নিখোঁজ মেয়েটির মা রেহেনা বেগম
তারিখ উল্লেখ না করে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সংবাদ সম্মেলনে রোজিনা আক্তারের স্বামী আব্দুল হান্নান, প্রতিবেশী শ্রমিকনেতা শামিম আহমেদ ছাড়া নিখোঁজ কিশোরীর কোনো আত্মীয় স্বজনকে উপস্থিত পাওয়া যায়নি।
যোগাযোগ করা হলে তদন্তকারী শ্রীমঙ্গল থানার এসআই নুরুল ইসলাম বলেন, মিনারা বেগম নামে এক নারীর টিপসহি দেয়া তারিখ বিহীন একটি অভিযোগ থানায় জমা দেয়া হয়েছে। কিন্তু এরপর থেকে মেয়েটির মাকে আর দেখা যায়নি। কেউ আর খোঁজ নিতেও আসেনি।
ভুনবীর ইউনিয়ন চেয়রাম্যান আব্দুর রশিদের সাথে যোগাযোগ করলে, তার এলাকায় এ ধরনের কোনো মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার কথা মনে করতে পারছেন না বলে জানান।
অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ মিয়া জানান, ‘সম্প্রতি রোজিনা বেগম তার কাছে প্রতারণা করে ১লক্ষ ৮০ হাজার টাকা নেয়। পৃথক একটি প্রতারণা মামলায় গেল মাসের ২৩ তারিখ গ্রেফতার ও জেলে যায়। জেল থেকে বেরিয়ে এলে আমি আমার পাওনা টাকা ফেরত চেয়ে না পেয়ে গত ৬ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলন করি। এর জের ধরে রোজিনা তাকে ফাঁসাতে এমন মিথ্যা অভিযোগ করছেন। তিনি বলেন, ‘আমি গরীব মানুষ। চটপটি বিক্রি করে জীবীকা নির্বাহ করি। আমি কখনো বাসার কাজের জন্য কোন কাজের মেয়ে রাখিনি’।
এ জাতীয় আরো খবর ....