রাজশাহী নগরিতে এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাঁশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৬এপ্রিল) দুপুর সোয়া ২টার দিকে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানাধীন হোসনীগঞ্জ বেতপট্টি এলাকার একটি ছাত্রী নিবাস থেকে ওই শিক্ষার্থীর লাঁশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের নাম, মোসাঃ সুরাইয়া খাতুন (১৯)।
সে নওগাঁ জেলার নিয়মতপুর সদর থানা এলাকার মোঃ সহিদুল ইসলামের মেয়ে। সে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য মহানগরীর হোসনীগঞ্জ বেতপট্ট এলাকার “তটিনী লজ ছাত্রীনিবাস” থেকে পড়াশোনা করতো।
মৃত সুরাইয়া খাতুনের রুমমেট নিতু জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় শনিবার সকালে হেতেমখাঁ এলাকায় অবস্থিত নিউরণ প্লাস কোচিং সেন্টারে ক্লাস করতে যায় সুরাইয়া। সেখান থেকে দুপুর দেড়টার দিকে মেসে ফিরে রুমের দরজা লাগিয়ে দেয়। দীর্ঘ সময় ধরে ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় তাকে ডাকতে দারজায় ধাক্কা দিলেও কোন শাড়া শব্দ পাওয়া যায় না। এই সময় দরজার একটি ছিদ্র দিয়ে উকি দিয়ে দেখা যায় ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না প্যাচিয়ে ঝুলছে শিক্ষার্থী সুরাইয়া।
পরে রুমমেটের চিৎকারে ছাত্রীনিবাসের অনান্য সদস্যরা ছুটে আসেন এবং বোয়ালিয়া থানা পুলিশে খবর দেন।
খবর পেয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ও সঙ্গিয় ফোর্স ঘটনা স্থলে পৌঁছায় এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের ডেকে ঘরের দারজা ভেঙ্গে ওই শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাঁশ উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার ইনচার্জ (ওসি) মো: মাজহারুল ইসলাম জানান, হোসনীগঞ্জ ‘তটিনী লজ’ নামের একটি ছাত্রীনিবাস থেকে সুরাইয়া খাতুন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাঁশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে ওই শিক্ষার্থীর আত্নহত্যার কারণ জানা যায় নি। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে বলেও জানান ওসি।