বাহুবলে ইয়াবা রেখে ব্যবসায়ীকে ফাঁসানোর প্রতিবাদে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে বাহুবল উপজেলার রশিদপুর বাজারে আয়োজিত মানববন্ধনে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান
ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বাজারের শতাধিক ব্যবসায়ী অংশগ্রহণ করেন। গেল বছর চাঁদপুরে দায়িত্ব পালনকালেও একই অভিযোগে মামলা হয় সহকারী পরিচালক একেএম দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত ১০ এপ্রিল বাজারের ব্যবসায়ী অজিত পালের দোকানে অভিযান চালায় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের একটি দল। এসময় পরিদর্শক এমদাদুল্লাহ বার বার মোবাইল ফোনে অপরপ্রান্তের কারো কাছ থেকে ‘কোথায় রাখা হয়েছে’ জানতে চাচ্ছিলেন। পরে দোকানের কাপড় কাটার টেবিলের নিচের অংশ থেকে একটি জর্দার কৌট জব্দ করে অজিত পালকে গ্রেপ্তার করেন। আশপাশের ব্যবসায়ীরা কৌটায় কি আছে জানতে চাইলে কৌটা না খুলেই ইয়াবা রয়েছে দাবি করেন ওই পরিদর্শক।
অভিযানকালে স্থানীয় লোকজন মোবাইল ফোনে রেকর্ড করতে গেলে তাদের ফোন নিয়ে নেয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের লোকাজন। পরে ১৫ পিস ইয়াবা জব্দ দেখিয়ে বাহুবল থানায় অজিত পালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
স্থানীয়দের দাবি, ওই এলাকার শ্মশানঘাটের জমি দখল সংক্রান্ত মামলার বাদি হওয়ায় অজিত পালকে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক একেএম দিদারুল আলমের যোগসাজশে ফাঁসিয়েছে একটি চক্র।
মানবনন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ভাদেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বশির। তিনি বলেন, পাল স¤প্রদায়ের একটি শ্মশান দখলের চেষ্টা করছে একটি চক্র। অজিত পাল এ ব্যাপারে কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। আমাদের ধারণা সেই চক্রটি মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে অজিত পালকে ফাঁসিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাঁদপুর জেলায় কর্মরত থাকাকালে এক ব্যবসায়ীকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক একেএম দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে মামলা করেন একজন ভুক্তভোগী। এর বাহিরেও তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।