নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) প্রশাসনিক ভবনের চতুর্থ তলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৬ এপ্রিল) সকাল প্রায় ৯টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শর্টসার্কিটের কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সূত্রে জানা গেছে, অগ্নিকাণ্ডে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ। বিভাগটির চেয়ারম্যানের কক্ষ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ ছাড়াও বিভাগের নথি, ল্যাব সরঞ্জাম, পিসি, ডেস্কটপ, শিক্ষকদের ফাইল, চেয়ার, ডেস্ক, প্রজেক্টর, আলমারি, প্রিন্টার, স্ক্যানারসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুনে খসে পড়েছে দেয়ালের প্লাস্টার।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা মানে যেখানের ময়লা সেখানেই পুড়ে ফেলা। কেন্দ্রীয় কোনো ডাস্টবিন নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ময়লা জড়ো করে যেখানে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেন। কদিন আগে আবাসিক হলের ভেতর এবং মসজিদের পাশে বর্জ্যে আগুন লাগানো হয়। যার ঠিক পাশেই বৈদ্যুতিক তার ছিল। সেখান থেকেও এমন দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতসহ নতুন করে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র স্থাপন এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সচেতন করার দাবি তাদের। অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে ঘটনাস্থলে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল বাকী। তিনি বলেন, শনিবার সকাল ৯টার দিকে অগ্নিকাণ্ড শুরু হয়। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটসহ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা আগুন নেভাতে সক্ষম হই। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানান তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল বাকী বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নেব। মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র সরিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন যন্ত্র স্থাপন করা হবে।