সারা দেশে ৪০ কেজিতে মণ হলেও রাজশাহীর পুঠিয়া বানেশ্বর হাটে ৪২ কেজিতে মণ হিসেবে পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। কৃষকরা জিম্মি হয়ে পড়েছে আড়তদারদের কাছে। ফলে ভোক্তা অধিকার বঞ্চিত হলেও প্রশাসনের নেই কোন নজর।
জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এই এলাকায় মশলা জাতীয় ফসল রসুন ও পেয়াজ উৎপাদন ভাল হয়েছে। আর এই পেঁয়াজ-রসুন উত্তোলন করে ঘরে তোলাসহ বিক্রি করতে উপজেলার ঝলমলিয়া, বানেশ্বর, মোল্লাপাড়া, ধোপাপাড়া বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে পিঁয়াজের বাড়তি চাপ রয়েছে।
এ সুযোগে হাট-বাজার গুলোতে আড়ৎদারদের কাছে ৪২ কেজিতে মণ হিসেবে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে প্রতিবাদ করেও কোন লাভ না হওয়ার কারণে এখন ৪২ কেজিতে মণ নিয়ম হয়ে দাড়িয়েছে। তবে এ বিষয়ে প্রশাসনের কোন নজর নেই।
নাম না প্রকাশের শর্তে কয়েকজন আড়তদার বলেন, আসলে কাঁচা মাল হিসেবে ৪২/৪৩ কেজি নয় হয়তো ৪১ কেজি নেওয়া হয়। তাছাড়া জোড় করে তো নেওয়া হয় না। ঢলন হিসেবে নেওয়া হয়।
কয়েকজন পিঁয়াজ বিক্রেতা বলেন, আসলে ৪২ কেজিতে পিঁয়াজের মণ এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকেই উল্টো কটু কথা শুনতে হয়। তবে প্রশাসনকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুঠিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার শামসুন নাহার ভূঁইয়া জানান, এবছর উপজেলায় ৩৭৪৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। উৎপাদন হেক্টর প্রতি ২৬ মেক্টিক টন যা গত বছরের তুলনায় চাষাবাদ ও উৎপাদন অনেক বেশি। এবার বীজের দাম কম থাকায় উৎপাদনও বেশি হয়েছে। আর উৎপাদন বেশি হওয়ায় পেঁয়াজের দাম কম যাচ্ছে হয়তো।
এ ব্যাপারে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাছের সরকারি মোবাইল নম্বরে কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেননি।