নবীগঞ্জ উপজেলার বড় ভাকৈর (পূর্ব) ইউনিয়নের বাগাওড়া গ্রামে প্রতি পক্ষের হামলা একই পরিবারের ১০জন আহত হন।আহতের মধ্যে ৬ জনকে নবীগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত জাবেদ মিয়াকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। অভিযোগ ও আহত সূত্রে জানাযায়,
গ উল্লেখিত গ্রামের নানু মিয়ার পুত্র জাবেদ মিয়া ও মৃত আব্দুল ওয়াহিদের পুত্র লিটন মিয়ার সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে একাধিক মামলা মোকদ্দমা রয়েছে। উক্ত বিরোধীর বিষয় স্থানীয় ভাবে বিচার সালিশ বিচার হলে কোন সমধান আসেনি । পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে গত বুধবার রাত ৭ টার সময় জাবেদ মিয়ার বসত বাড়ীতে লিটন মিয়া,আব্দুর রেজাক মিয়ার পুত্র ছায়েদ মিয়া,ফরহাদ মিয়া,মৃত লেবু মিয়ার পুত্র ইমন মিয়া , এলাইছ মিয়ার মেয়ে শিপন বেগম,মৃত লেবু মিয়ার স্ত্রী ফুলনাহার বেগম গংরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে । জাবেদ মিয়া ঘর থেকে বাহিরে এসে তাদেরকে গালিগালাজের কারণ জিজ্ঞাস করলে তারা জাবেদ মিয়া ও তার পরিবারের লোকজনের উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারি হামলা চালায়। হামলাকারী
লিটন মিয়া গংরা জাবেদ মিয়ার স্ত্রী তাসলিমা বেগমের গলায় থাকা একটি স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায় পড়নের কাপড় ধরে টানা হেছড়া করে ম্লীলতাহানী করে। আহতদের আত্ন চিতকারে ।জাবেদ মিয়া ও তার স্ত্রীকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসলে রুজিনা বেগম ,জেবু বেগম , জেবা বেগম ,দিলমালা বেগম , লেখন বেগমকের উপর লিটন গংরা তাদের উপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে আহত করে। এসময় হামলাকারী ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে নগদ ২ লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় বসত ঘরের পাশে থাকা রান্না ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় লিটন গংরা।লিটনগংরা হুমকি দিয়া বলে যে , উক্ত বিষয়ে মামলা মোকদ্দমা করলে জাবেদ এবং পরিবারের লোকজনদের প্রাণে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলবে।আহতদের আত্ন চিৎকারে আশ পাশের লোকজন এসে তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। জাবেদ মিয়া উল্লেখিত ৬ জনের নাম উল্লেখ করে নবীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ডালিম আহমেদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।