চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভরনে রাতেও উড়ছে জাতীয় পতাকা। যা অবমাননার শামিল।
সরকারি নিয়ম অনুসারে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিয়ম থাকলেও নিয়ম ভঙ্গ করতে দেখা গেছে দামুড়হুদা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষকে।রাতে হাসপাতালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের ঘটনায় বিরূপ মন্তব্য সৃষ্টি হয়েছেন।
বুধবার ( ৬ এপ্রিল) রাত ১১ টায় সরেজমিনে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে গিয়ে দেখা এমন চিত্র মেলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার স্থানীয় এক বাসিন্দা হাসপাতালে সেবা নিতে গিয়ে দেখেন এমন চিত্র। যিনি জাতীয় পতাকার অবমাননা করার চিত্র দেখে মানসিক ভাবে কষ্ট পান।তিনি একজন সচেতন ব্যাক্তি,দেশপ্রেমিক। যিনি ঘটনাস্থল থেকে বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদের কে খবর দিয়ে মহতি কাজটি করেছেন।তিনি বলেন,৩০ লক্ষ্য শহীদ ও ৩ লাখ মা – বোনের সম্নমের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি লাল- সবুজের পতাকা। এ পতাকার অবমাননা মেনে নেওয়া যায় না। রাতের বেলা জাতীয় পতাকা উড়ছে এটা কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলা।
হাসপাতালে রোগীর সাথে সেবা নিতে আসা অপর এক ব্যাক্তি নাম প্রকাশ না করে এ প্রতিবেদকে বলেন,সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জাতীয় পতাকা উড়ানোর নিয়ম রয়েছে জানি।রাতে হাসপাতালে জাতীয় পতাক উড়ানো অবমাননার শামিল। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের আইন ভঙ্গ করা রাষ্ট্রবিরোধী কাজ। জাতীয় পতাকার সন্মান অক্ষুণ্ণ রাখা আমাদের নৈতিক দ্বায়িত্ব।
এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী’র সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন,রাতের আধারে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা অবমাননা ও অবহেলার শামিল। যা কোন ভাবেই কাম্য নাই। এটি সম্পুর্ন মুক্তিযোদ্ধা চেতনা বিরোধী।জাতীয় পতাকা অবমাননার করার অর্থ হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করা। জাতীয় পতাকার সন্মান নষ্ট করা হলে, আমাদের নতুন প্রজন্ম কী শিখবে? বিষয়টি গুরুত্বের সাথে সংশ্লিষ্টরা তদন্ত করে ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন বলে আশা করছি।সেই সাথে এমন ঘটনা যাতে আর না হয় সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখবেন।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছলিমা আক্তার এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন ,বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ন।বিষয়টি কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে খতিয়ে দেখা হবে।