দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে গ্রামে গ্রামে গড়ে তোলা হয়েছে নকল চুল তৈরীর কারখানা। এসব নকল চুল তৈরীর কারখানা গুলোতে অনেক
শিক্ষার্থী (ছাত্রী) কাজ করে থাকে। এতে তারা ভাল রোজগার করলেও পড়াশূনায় শ্রেণী কক্ষ ছেড়েছে। উপজেলার শালখুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোতাহার হোসেন জানান তার ওই বিদ্যালয়ে অনেক ছাত্রী অনুপস্থিত রয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু তাহের মন্ডলও তার বিদ্যালয়ে ছাত্রী অনুপস্থিত থাকার কথা জানান। গোলাপগঞ্জ
উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউসুফ আলীও শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকার কথা
জানিয়ে তাদের শ্রেণী কক্ষে নিয়ে আসার চেষ্টা করার কথা জানান। এ দিকে
একটি বে-সরকারী সংস্থার জরিপে উঠে এসেছে ১০ হাজার ৮০০ কিশোর কিশোরীর মধ্যে গত ২২ মাসে ৬৪৫ কিশোর- কিশোরীর বাল্য বিয়ে হয়েছে। ওয়ার্ল্ড মিশন প্রেয়ারলীগ(ল্যাম্ব হাসপাতাল) কতৃক বাস্তবায়নাধীন এ্যাডলোসেন্ট এন্ড কমিউিনিটি ট্রান্সফরমেশন(এসিটি) প্রকল্পের মাধ্যমে ওই তথ্য উঠে এসেছে। প্রকল্পের টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর গোলাম মোস্তফা জানান উপজেলার ৯টি
ইউনিয়নের প্রতিটি ইউনিয়নের ১-৬ নং ওয়ার্ডে তাদের ২০ সদস্যের ৫৪০টি
কিশোরী দল রয়েছে যার সদস্য সংখ্যা ১০ হাজার ৮০০ জন। এই সদস্যদের মধ্যে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ৬৪৫ জন কিশোর-কিশোরীর বিয়ে হয়েছে।বিয়ের পর লেখাপড়া বন্ধ হয়েছে ৫৪৬ জনের। বিয়ে হওয়া কিশোর কিশোরীদের মধ্যে জয়পুর ইউনিয়নে ৮৩ জন বিনোদনগরে ৬৩ জন গোলাপগঞ্জে ৯৯ জন শালখুরিয়ায় ৭২ জন পুটিমারায় ৬৬ জন ভাদুরিয়ায় ৭৮ জন দাউদপুরে ৪৪ জন মাহমুদপুরে ৪৯ জন এবং কুশদহ ইউয়িনের ৯১ জন রয়েছে। বাল্য
বিয়ের কারন হিসাবে সংস্থাটি মহামারী করোনা সচেতনতার অভাব ও
দায়িত্বহীনকে সনাক্ত করেছেন। প্রকল্প ম্যানেজার উৎপল মিনজ এ বাল্য বিয়ের হারকে হতাশাজনক এবং এ থেকে উত্তোরন হতে না পারলে জাতী মেধাশূণ্য হয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেন। বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ ও নকল চুল কারখানায় শিশুশ্রম বন্ধ করতে না পারলে এলাকায় মেয়েদের শিক্ষায় পিছিয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে।